বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্ধারিত দিনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়া প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ মার্চ নতুন দিন ধার্য করেন।
চলতি বছর ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী মারজুকা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় নুরসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নির্বাচনে বাম জোটের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী, জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন সকালে বাদী মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচালের চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়ান যে, ট্রাঙ্কভর্তি সিলমারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে উসকে দেন।
এক পর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাঙ্ক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়, সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতে সিল মারা নেই।
ঘটনার দিনই মারজুকা রায়না শাহবাগ থানায় নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
কেআই/এইচএডি