ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জামিনের জন্য রিভিউয়ের চিন্তা খালেদার আইনজীবীদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
জামিনের জন্য রিভিউয়ের চিন্তা খালেদার আইনজীবীদের

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আপিল বিভাগে জামিন খারিজের আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করার চিন্তা করছেন তার আইনজীবীরা। এছাড়া এই মামলায় ফের হাইকোর্টে জামিন আবেদন করার কথাও ভাবছেন তারা।

এদিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারা মোতাবেক কোনো সাজার কার্যকারিতা শর্তহীনভাবে স্থগিত করার দাবি জানায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। অ্যাটর্নি জেনারেল এটাকে সরকারের বিষয় বললেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী বলছেন-এটা দুদক আইনের মামলা।

এখানে সরকার সাজা স্থগিত করার সুযোগ নেই।

গত ১২ ডিসেম্বর সাত বছরের দণ্ডের এ মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর কিছু দিন পরে ৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বারে এক সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ওই সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা মোতাবেক কোনো সাজার কার্যকারিতা শর্তহীনভাবে স্থগিত করার একমাত্র ক্ষমতা সরকারের হাতে। আমরা আশা করি সরকার প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে আইনগতভাবেই চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারেন। এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা।  

‘তাই আমরা সরকারের কাছে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী স্থগিত করে তার ইচ্ছামতো চিকিৎসা নিতে দেশে/বিদেশে সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ’

১২ জানুয়ারি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, সাধারণত সাজা সাসপেন্ড করা হয় অনেকদিন সাজা খাটার পরে সরকার বিশেষ বিবেচনায় এটা করে, করতে পারে। সে রকম কেস যদি তারা মেইক আউট করতে পারে, সেটা সরকারের ব্যাপার।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটা দুদক আইনে করা। দুদকের আইনে সাজা স্থগিতের বিষয়ে কোনো বিধান নেই। তাই এ মামলায় সাজা স্থগিতে সরকারের কোনো সুযোগ নেই।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হাতে রিভিউ করার সময় আছে। আমাদের রিভিউ করার চিন্তা রয়েছে। এছাড়া আমরা আবার এ মামলায় হাইকোর্টেও জামিন চাইতে পারি।  

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

এরপর হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি, একই সঙ্গে করেন জামিন আবেদন। গত বছরের ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যে আবেদন ১২ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হন বিএনপি প্রধান। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।