বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমানের কাছে সাক্ষ্য দেন তারা।
এই পাঁচজন হলেন- উৎস প্রকাশনীর গ্রাফিক্স ডিজাইনার শিশির আহমেদ রুবেল ও প্রুফ রিডার শফিক হাসান, আজিজ সুপার মার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরী মো. মাসুদ, ‘অন্তরে রেস্তোরাঁ’ এর ব্যবস্থাপক এবং জামাকাপড় বিক্রয় কেন্দ্র ‘নিত্য উপহার’ এর ব্যবস্থাপক রানা বড়ুয়া।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দিলেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন বিচারক।
গত ১ ডিসেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিন মামলার বাদী ও দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান এবং জব্দ তালিকার সাক্ষী আজিজ সুপার মার্কেট কো-অপারেটিভ মালিক সমিতির অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ১০ ডিসেম্বর দীপনের মালিকানাধীন জাগৃতি প্রকাশনীর ম্যানেজার আলাউদ্দিন মিয়াসহ তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
ওইদিন সাক্ষ্য দেওয়া অপর দু’জন হলেন- আজিজ সুপার মার্কেট কো-অপারেটিভ মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান ও উৎস প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মোস্তফা সেলিম। তাই মামলায় এ পর্যন্ত বাদীসহ মোট ছয়জন আদালতে সাক্ষ্য দিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দীপন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। অভিযোগপত্রে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম, মো. আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. শেখ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। এর মধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
কেআই/জেডএস