তার নাম ইউসুফ আলী মোল্লা, যিনি বর্তমানে ট্রাফিক ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। ঘটনার সময় তিনি গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে ওই এলাকায় কর্মরত ছিলেন।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এ নিয়ে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫১ জন আদালতে সাক্ষ্য দিলেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০০১ সালে রমনার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সাতজন নিহত ও ২০ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলায় ২০০৯ সালে চার্জ গঠনের পর প্রথম সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।
পরে সাক্ষ্যগ্রহণে ধীরগতি চলে আসে। এখন সাক্ষ্যগ্রহণে কিছুটা গতি আসলেও বিচার চলাকালেই এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।
বোম হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার রায় হয় ২০১৪ সালের ২৩ জুন। রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
মামলায় সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনও পলাতক। অবশ্য অন্য মামলায় মুফতি আব্দুল হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
কেআই/এমএ