বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর এ রায় দেন।
জজ আদালতের সরকারি কৌঁশুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কফিল উদ্দিন, আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি, মো. মুক্তার ও মো.শাহজালাল।
আদলত সূত্র জানায়, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া জেলা সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মান্নানকে গলা কেটে করে হত্যা করা হয়। চারদিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসামিরা জড়িত রয়েছেন বলে আদালতে প্রমাণিত হয়। হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম হুমায়ুন কবির বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামিদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এসআর/এএটি