মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে তিনি হাজির হন।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে তলব করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এস সালাউদ্দিন আহমেদ।
৫ জনুয়ারি মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, আদেশ অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা কেন উচ্ছেদ করা হয়নি আদালতে হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
ওই রায় অনুসারে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কয়দিন চলার পর তা বন্ধ যায়। এরপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ০৯ এপ্রিল বন্দরনগরী কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। মনজিল মোরসেদ জানান, আদালতের নির্দেশে আংশিক উচ্ছেদ করা হয়। এরপর আবার আবেদন করা হলে আদালত বন্দর কর্তৃপক্ষকে সময় দেন। সময় পার হয়ে গেলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ফের সময় আবেদন করায় বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন আদালত।
গত বছরের ৯ এপ্রিল কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
ইএস/এমএ