মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া অপর আসামি হলেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইযাসির আরাফাত তূর্য।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু এবং ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুন।
গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসুর সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরের রুমসহ ডাকসু ভবনে ভাঙচুর চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এ সময় নুরসহ আহত হন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পরদিন ২৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যসহ তিনজনকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম এই তিনজনকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান। রিমান্ড শেষে ২৮ ডিসেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ডাকসু ভিপিসহ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রইচ উদ্দীন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামি হিসেবে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এ এফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মাহিম ও মাহবুব হাসান নিলয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনকে মামলায় আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
কেআই/জেডএস