মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি সাবেক পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। এ সময় নব-নিযুক্ত অতিরিক্ত পিপি, এপিপিসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন দুপুরে একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সেখানে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, জেলার সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
এরপর আদালত প্রাঙ্গণে গেলে আইনজীবীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। আইনজীবীরা দলে দলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। পরে সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পিপি কার্যালয়ে দায়িত্ব হন্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
দীর্ঘ প্রায় একদশক পর সিলেটের আদালতগুলোতে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাদের রদবদল হলো। দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতের সরকারি কৌশুলী জিপি, পিপি, বিশেষ পিপি, অতিরিক্ত পিপি, এপিপি পদে পুরাতনদের সরিয়ে নতুন ৮৬টি পদে রদবদল করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আইন বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি/পিপি শাখা) থেকে (সলিসিটর/জিপি-পিপি(সিলেট)-৫৫/২০০৯-২২, তাং-১০/০০২/২০২০) নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উপ-সলিউটর (জিপি-পিপি) মো. মনিরুজ্জামান এ নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সিলেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে পাঠানো হয়।
তথ্যমতে, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা (পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন। আর সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে পিপি পদে পেয়েছেন অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী এবং সরকারি কৌশুলী (জিপি) হয়েছে অ্যাডভোকেট মো. রাজ উদ্দিন।
আদালত সূত্র জানায়, জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর আদালতসহ অধীনস্থ ৫৫টি বিচারালয়ে এসব পিপি, জিপি, অতিরিক্ত পিপি, এপিপিরা দায়িত্ব পালন করবেন। তন্মধ্যে জেলা ও দায়রা জজের অধীনে আছে ৪২টি বিচারালয়। আছে চারটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, একটি সাব জজ, সদর ও ১২টি উপজেলায় একটি করে সিভিল আদালত, পারিবারিক আদালত ও সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, চারটি বিশেষ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও ১৩ উপজেলার একটি করে আমলীগ্রহণকারী আদালত (কগনিজেন্স আদালত)।
মহানগর দায়রা আদালতের অধীনে বিচারালয় রয়েছে ১১টি। এরমধ্যে একটি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা আদালত, দু’টি যুগ্ম দায়রা আদালত, চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাড়াও মেট্টোপলিটন এলাকার ৬টি থানার পৃথক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এনইউ/আরবি/