বয়স ৩০ বছর অতিক্রম হয়ে যাওয়া ফরিদপুরের মধুখালীর বিজিত সরকারসহ ছয়জনের করা রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ রুল জারি করেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন সচিব, শিক্ষা সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করে ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিধিমালা (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪ এর ১৪ (১) বলা হয়েছে, কমিশন যে মাসে বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপন জারি করবে ওই মাসের প্রথম তারিখে কোনো প্রার্থীর বয়স ২১ বছরের নিচে বা ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে হলে তিনি ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
অপরদিকে ত্রয়োদশ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (১৩শ বিজেএস) পরীক্ষা ২০১৯ এর বিজ্ঞপ্তির ৪ নম্বর কলামে বলা হয়, প্রার্থীর বয়স অনধিক ৩২ বছর। প্রার্থীর বয়স বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।
পরে আলতাফ হোসেন বলেন, জুডিসিয়াল পরীক্ষায় বয়সসীমা ৩২ বছর। অথচ এখানে ৩০ বছর। এটা সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকতে হবে। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
ইএস/এএ