মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বিপ্লব ভেড়ামারা উপজেলার কারিকরপাড়া গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন দাসের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ মে রাত ১১টায় ওই গৃহবধূর স্বামী কুমার বিশ্বাসের অবর্তমানে তার পালক বাবা বিপ্লব ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই গৃহবধূ লোকলজ্জার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে আসামি বিপ্লব গৃহবধূকে তার বাবার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে করে ঢাকার নবীনগর এলাকায় আসামির এক আত্মীয়ের বাসাতে ১৫ দিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে সুযোগ বুঝে ওই গৃহবধূ পালিয়ে এসে পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বলেন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা বিপ্লবের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর বিপ্লবের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভেড়ামারা থানার ওই গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি বিপ্লব প্রতারণা করে আটকে রেখে একাধিকবার ধষর্ণের অভিযোগ সাক্ষ্য-শুনানিতে সন্দেহাতিত প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
আরবি/