মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুদকের লিগ্যাল অ্যান্ড প্রসিকিউশন শাখার পরিচালক এবং বরিশাল পুলিশ সুপার ও ঢাকা এসবিকে তদন্ত করে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে জামিন আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এস এম আবদুর রউফ।
পরে একেএম আমিনউদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, ভুয়া ও জাল ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিল করে ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) বংশাল শাখা থেকে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১১ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক। মামলা তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল জুয়েল রানাসহ সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর এ মামলায় জুয়েল রানাসহ ৫ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের পর ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই জুয়েল রানার জামিনের আবেদন করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, কারাগারে যে আসামি রয়েছে সে জুয়েল রানা নয়, তার নাম আব্দুল কাদের। জামিন আবেদনে জুয়েল রানা ও আব্দুল কাদেরের বাবার নাম ও ঠিকানা একই উল্লেখ করা হয়েছে। আসামির বাবার নাম লেখা হয়েছে মৃত আয়নাল ঢালী, গ্রাম-ছাতিয়া, উপজেলা বাবুগঞ্জ, জেলা বরিশাল। আবেদনের সঙ্গে আব্দুল কাদেরের জন্ম সনদ, ওয়ারিশ সনদপত্র, এসএসসি ও এইচএসসি পাসের সনদ, স্টাম্প ভেন্ডারের সনদ ও গার্মেন্টসে চাকরির প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। একারণে আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
ইএস/ওএইচ/