ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সায়মা হত্যা: দেড় মাসেই সাক্ষ্য নেওয়া শেষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
সায়মা হত্যা: দেড় মাসেই সাক্ষ্য নেওয়া শেষ ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৬) ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় অভিযোগ গঠিত হয়েছিল চলতি বছর ২ জানুয়ারি। প্রায় দেড় মাসের মাথায় বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ মামলায় সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে।

বুধবার বিকেলে এ মামলায় কর্মকর্তা ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের পরিদর্শক মোহাম্মদ আরজুনের জবানবন্দির মাধ্যমে সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়। এরপর ঢাকার এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

ওইদিন মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে (২৬) আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের কোনো বক্তব্য থাকলে তা উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন। এরপর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত।

গত বছর ৫ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের পরিদর্শক মোহাম্মদ আরজুন। গত ২০ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম অভিযোগপত্রটি ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষরের পর মামলাটি বিচারের জন্য এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।

চলতি বছর ২ জানুয়ারি মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ৮ জানুয়ারি সাক্ষ্য নেওয়ার দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন সায়মার বাবা আব্দুছ ছালামের জবানবন্দির মাধ্যমে সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়।  

২০১৯ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওয়ারীতে বনগ্রামের খালি ফ্ল্যাটের নবম তলায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তার গলায় রশি প্যাঁচানো, মুখ বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

এ মামলার একমাত্র আসামির বাড়ি কুমিল্লায়। ওয়ারীর বনগ্রামের যে বহুতল ভবনে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, তার অষ্টম তলায় খালাতো ভাই পারভেজের বাসায় থাকতেন তিনি। ঠাঁটারীবাজারে পারভেজের রঙের দোকানেই তিনি কাজ করতেন। আর হত্যার শিকার সাত বছর বয়সী মেয়েটি ষষ্ঠ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। অন্য দিনের মতই আট তলায় পারভেজের মেয়ের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা বলে শুক্রবার বাসা থেকে বের হয়েছিল সে।

সায়মা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে গত ৭ জুলাই তার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় হারুন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। এখনো সে কারাগারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
কেআই/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।