জুয়েল সরদার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আংদিয়া এলাকার আজিজুল সরদারের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে জুয়েলের সঙ্গে তার মা বানেরা খাতুনের পারিবারিক কলহ বাঁধে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জুয়েল তার মাকে ধারালো হাসুয়া ও কোদাল দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন জুয়েলকে একমাত্র আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বাবা আজিজুল সরদার।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ৩০২ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে একই বছরে ১৯ জুনে অভিযোগ গঠন করে বিচার কার্য শুরু করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বাংলানিউজকে জানান, নিজের গর্ভধারিণী মাকে নির্মমভাবে হাসুয়া এবং কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনা আদালতকেও নাড়া দিয়েছে। এ মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি জুয়েল রানার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
** নেশার টাকা না দেওয়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যা
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
ওএইচ/