ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দীপন হত্যা: আদালতে সাক্ষ্য দিলেন বোনসহ চারজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২০
দীপন হত্যা: আদালতে সাক্ষ্য দিলেন বোনসহ চারজন ফয়সাল আরেফীন দীপন

ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় নিহতের বোনসহ চারজন আদাল‌তে সাক্ষ্য দি‌য়ে‌ছেন।

স্বাক্ষ্য দেওয়া চারজন হ‌লেন-দীপ‌নের বোন শু‌চিতা শার‌মিন, জাগৃ‌তি প্রকাশনীর পার্শ্ববর্তী কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অ‌ফিস সহকা‌রী আব্দুল হা‌নিফ, শাহবাগ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনারুল ইসলাম ও কনস্টেবল রমজান আলী।

বুধবার (৪ মার্চ) সন্ত্রাসবি‌রোধী বি‌শেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।

দীপ‌নের বোন শু‌চিতা শার‌মিন তার জবানব‌ন্দি‌তে বলেন, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আমি সন্ধ্যায় মোবাইলফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারি সন্ত্রাসীরা দীপনকে আক্রমণ ক‌রে‌ছে। এরপর পরীবা‌গ এলাকার বাসা থে‌কে আজিজ সুপার মার্কেটের দিকে রওয়ানা হই। পথে অনেক জ্যাম থাকায় কাটাবন এলাকার রাস্তা ধরে আসতে থাকি। পথিমধ্যে জানতে পারি দীপনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে গাড়ি ঘুরি‌য়ে ঢামেক হাসপাতালের দিকে রওয়ানা হই। ঢামেক হাসপাতালে পৌঁছাতেই অনেক সাংবাদিকদের দেখতে পাই। ওখান থেকে জানতে পারি দীপনকে অপা‌রেশন থি‌য়েটা‌রে ঢুকানো হয়েছে। এরপর আ‌মি পরীবা‌গের বাসায় ফির‌তে থা‌কি। পথিমধ্যে জানতে পারি আমার ছোট ভাই দীপন আর বেঁচে নেই। পরদিন সকালে ঢামেক হাসপাতা‌লে যাই। সেখানে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করি এবং সুরতহাল প্রতি‌বেদ‌নে আমি সই করি।

পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহ‌ণের জন্য আগামী ১৬ মার্চ ‌দিন ধার্য ক‌রেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।  

গত ১ ডিসেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিন মামলার বাদী ও দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান ও জব্দ তালিকার সাক্ষী আজিজ সুপার মার্কেট কো-অপারেটিভ মালিক সমিতির অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।  

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ’১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ঢাকার চিফ মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যাজিস্ট্রে‌ট আদালতে দীপন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। অভিযোগপত্রে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

এ মামলার আসামিরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম, মো. আব্দুল সবুর, খাইরুল ইসলাম, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. শেখ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। এর মধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব পলাতক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
‌কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।