ঢাকার পঞ্চম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার মামলাটি গ্রহণ করে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (৪ মার্চ) বাদীপক্ষের আইনজীবী ইমরুল হাসান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় দক্ষিণখান থানার ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন, এসআই আব্দুল কাদির ও আরিফ হোসেন, এএসআই আ. রুপ ও নুরুল ইসলাম এবং কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম, জয়েন উদ্দিন, তৌফিক ইয়াসমিন আক্তার ও রুনা আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অসামিদের মধ্যে মার্জিয়া আক্তার পুতুল ছাড়া সবাই দক্ষিণখান থানায় কর্মরত।
আইনজীবী ইমরুল হাসান জানান, দক্ষিণখান থানাধীন একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মামলার বাদী (৪৩)। ফ্ল্যাটসহ ওয়ারিশি সম্পত্তি নিয়ে জমিজমা সৎ মা পুতুলের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। এসব ঘটনার জেরে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি জিডি করেন। তবে জিডির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যবস্থা না নিয়ে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে গত ২ মার্চ দক্ষিণখান থানার ওসির নেতৃত্বে বর্ণিত পুলিশ সমদস্যরা উল্টো জিডিকারী নারীর বাড়িতে যান। এসময় ওই নারীকে ফ্ল্যাট থেকে উচ্ছেদ করতে ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা উল্টো ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মারধর এবং যৌন নিপীড়ন করেন।
মারধর ও যৌন নিপীড়নের বিচার চেয়ে বুধবার বিকেলে আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
কেআই/এএ