বুধবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দেলোয়ার হোসেন আপন সুনামগঞ্জ জেলা কান্দিগাঁও গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ গভীর রাতে খোকসা উপজেলার পাইকপাড়া মির্জাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে স্ত্রী শারমীন আক্তার ভানুকে (২৫) কে বা কারা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সামছুল আলম বাদী হয়ে খোকসা থানায় নিহতের স্বামী দেলোয়ার হোসেন আপনসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের উপর ন্যস্ত হলে নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে এই হত্যাকাণ্ডে নিহতের স্বামী দেলোয়ার হোসেন আপন জড়িত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দেয়।
জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি আপন মোবাইল ফোনে পরিচয় ভিত্তিতে শারমীন আক্তার ভানুকে বিয়ে করেন। আপন ছিল নিহত ভানুর ২য় স্বামী, প্রথম স্বামী এক কন্যা সন্তান রেখে বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, নিহত ভানুর প্রথম স্বামী স্ত্রীকে অনৈতিক সম্পর্করত অবস্থায় দেখে উত্তেজিত হয়ে তাকে হত্যা না করে নিজেই আত্মহত্যা করেছিলেন। ওই একই কারণে নিহতের ২য় স্বামী আপন নিজেকে হত্যা না করে ভানুকে হত্যা করে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
আরএ