বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন আসামিদ্বয়ের উপস্থিতিতে জণাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কালিহাতী উপজেলার মৃত রহিজ উদ্দিনের ছেলে নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরু (৬৫) এবং ওই ধর্ষণ ও হত্যায় সহায়তাকারী বাসাইল উপজেলার নাজির হোসেনের স্ত্রী নাজমা (৩২)।
ধর্ষণ ও হত্যার শিকার আশা আক্তার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফৈলারঘোনা গ্রামের আলীমের মেয়ে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের এনায়েতপুরে তার নানার বাড়িতে থাকতেন।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আক্তার জনান, ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর আশা আক্তার নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। দীর্ঘ ১০-১২ দিনেও তাকে খুঁজে না পাওয়ায় তার বাবা আলীম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন নাজমাকে গ্রেফতার করেন। নাজমা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরুকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা জানান, ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর তারা দুজনে আশা আক্তারকে নিয়ে কালিহাতী উপজেলার ধানগড়া গ্রামের মান্দাই বিলের কাছে যান। নূর মোহাম্মদ পরে আশা আক্তারকে দুই বার ধর্ষণ করে এবং নাজমার সহায়তায় বিলের পানিতে চুবিয়ে ও শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
এনটি