ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাহাবউদ্দিন মেডিক্যালের এমডিসহ তিনজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাহাবউদ্দিন মেডিক্যালের এমডিসহ তিনজন

ঢাকা: অনুমোদন ছাড়া করোনা পরীক্ষা ও ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার রাজধানীর সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফয়সাল আল ইসলামসহ তিনজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অন্য দুজন হলেন- হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হাসনাত ও স্টোর কিপার শাহরিজ কবির।

গত ২১ জুলাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে সোমবার তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান। অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠান।

গত ২০ জুলাই সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরদিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হাসনাত, স্টোর কিপার শাহরিজ কবিরের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনাম কয়েকজনকে আসামি গুলশান থানায় মামলা করেন র‌্যাবের নায়েব সুরেদার ফজলুল বারী।

মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযানের সময় ডা. হাসনাত ও শাহরিজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অপরদিকে ২১ জুলাই বনানীর একটি হোটেল থেকে এমডি ফয়সালকে গ্রেফতার করা হয়, যিনি মেডিক্যাল কলেজটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিনের ছেলে।

অনুমোদন না নিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার অভিযোগে ২০ জুলাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে গুলশানের সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ৯ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ।

অভিযোগের মধ্যে আছে, করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় সরকারের র‌্যাপিড টেস্টের অনুমোদন না থাকলেও তারা সেটা করেছে। পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে। করোনা ভাইরাস নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ভিন্ন ল্যাব থেকে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নিজেদের প্যাডে প্রতিবেদন দেওয়া।

হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদ এক বছর আগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তা নবায়ন করা হয়নি বলেও র‌্যাবের অভিযোগ। এছাড়া হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে ১০ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী-ওষুধ পাওয়ার কথাও জানিয়েছে র‌্যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।