ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাঘারপাড়ার সাবেক মেয়র খলিলুরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
বাঘারপাড়ার সাবেক মেয়র খলিলুরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ খলিলুর রহমান

যশোর: যশোরের বাঘারপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র খলিলুর রহমানের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মামলার সাজা বহাল রেখে আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।  

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) আত্মসমর্পণ করতে আইনজীবীর মাধ্যমে খলিলুর রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

 

দুদক যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, ২০১৬ সালের ২ আগস্ট যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক এক রায়ে আসামি খালিলুর রহমানকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত খালিলুর রহমান জামিনের আছেন। খলিলুর বাঘাপাড়া পৌরসভার প্রথম নির্বচিত মেয়র ও দোহাকুলা গ্রামের মৃত সুফি আবু দাউদ হোসেনর ছেলে।

জানা যায়, বাঘারপাড়ার দোহাকুলা গ্রামের মৃত আমির আলী বিশ্বাসের ছেলে মশিয়ার রহমান একজন ব্যবসায়ী।  

তিনি দোহাকুলা বাজারের উত্তরপাশে নদীর পাড়ে খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসাছিলেন। জমির পরিমান ছিল ১০ বর্গমিটার। ২০১০ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে খলিলুর রহমান কয়েকজন অপরিচিত লোক নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে গুড়িয়ে দেন। ২১ জানুয়ারি রাতে তিনি জমিতে প্রাচীর দিয়ে দখল নিয়ে নেন।  

এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এরপর ২৪ জানুয়ারি তিনি দুদক যশোরে অভিযোগ দেন।  

দুদক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২৬ জানুয়ারি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একটি পিটিশন মামলা করেন মশিয়ার রহমান। অভিযোগটি গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন বিচারক।  

এ অভিযোগের তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় খলিলুর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদলতে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আমিনুর রহমান।  

মামলাটি পরবর্তীতে চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।  

আদালতে উপস্থিত সাজাপ্রাপ্ত খলিলুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক।  

এরপর সাজাপ্রাপ্ত খলিলুর রহমান যশোর স্পেশাল জজ আদালতের দেওয়া সাজার বিপক্ষে হাইকোর্টে আপিল করেন। যার নম্বর ৭০৪৩৯/২০১৬। আপিল বিভাগ মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর বিচারক মো. শওকত হোসাইন এক রায়ে পূর্বের সাজা বহাল রেখে আপিল খারিজ করে দেন।  

এ আদেশ যশোর আদালতে এসে পৌঁছালে বৃহস্পতিবার সাজাপ্রাপ্ত খলিলুর রহমানকে আদালতে আত্মসমর্পণ করাতে তার আইনজীবীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
ইউজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।