ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০
নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে বিচারপতি তারিক উল হাকিম (বামে) ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান (ডানে)

ঢাকা: আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের আট বিচারপতি ভার্চ্যুয়ালি এজলাসে বসেন।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি নতুন দুই বিচারপতির সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেন। এরপর দুই বিচরপতি সংবর্ধনার জবাবে বক্তব্য দেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবী ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে দুই বিচারপতিকে শপথ বাক্যপাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

পরে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত দুই বিচারপতি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

১৯৫৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি তারিক উল হাকিম জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মাকসুম উল হাকিমও ছিলেন বিচারপতি। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে জেলা আদালত ও ১৯৮৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০২ সালের ২৯ জুলাই বিচারপতি তারিক উল হাকিম হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি ও ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
 
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ১৯৮৬ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ও ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৯ সালের ৩০ জুন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি ও ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান ছিলেন।

সবশেষ আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর। নতুন দুইজনকে নিয়োগের পর আপিল বিভাগের বিচারপতি হলেন মোট আটজন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
ইএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।