ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে নোটিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২০
‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে নোটিশ

ঢাকা: বৈবাহিক ধর্ষণ অর্থাৎ ম্যারিটাল রেপকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ওয়াহিদা আফসানার পক্ষে রোববার (১ নভেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাহিদ চৌধুরী জনি এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী।

পরে আইনজীবী জানান, বাংলাদেশের প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এবং দণ্ডবিধির কোথাও বৈবাহিক জীবনে স্বামী কর্তৃক ধর্ষিত হলে কোনো আইনি পদক্ষেপ নারীরা নিতে পারেন না।

এছাড়াও সামাজিক বিবেচনায় ওই নারী কখনো এ বিষয়টা নিয়ে জনসম্মুখে আসতেও পারেন না। অথচ গবেষণায় এসেছে যে, এবছর ৬৪ জেলার মধ্যে ২৭ জেলাতেই বৈবাহিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

‌জাতিসংঘ হিউম্যান রাইটস কমিশন ১৯৯৩ সালে বৈবাহিক ধর্ষণ অর্থাৎ ম্যারিটাল রেপকে মানবাধিকার লংঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।

এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি দেশের বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আইন রয়েছে জানিয়ে এ আইনজীবী বলেন, কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও বাংলাদেশে বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আইনি বা শাস্তির বিধান রাখা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২০
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।