বরিশাল: মোটরসাইকেল চালককে জবাই করে হত্যা মামলায় ঘাতককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১ নভেম্বর) বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হেদায়েতুন্নবী জাকির জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম আমান উল্লাহ। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম চরাদী এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে। যার বিরুদ্ধে ছেলে হত্যার অভিযোগে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খোন্তাখালী এলাকার বাদশা খলিফা।
অভিযোগে তিনি বলেন, আমান উল্লাহ নলছিটি উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে জামাল মল্লিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তার ছেলে রুমান খলিফা ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতো। আমান উল্লাহ ও রুমান খলিফা সমবয়সী হওয়ায় দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করতো।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে বাদীর ছেলে রুমান খলিফা আসামি আমান উল্লাহর সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে বাকেরগঞ্জ যায়। রাত ১০ টায় রুমান মুঠোফোনে বাবাকে জানায়, সে আমানউল্লাহর সঙ্গে তাদের বাকেরগঞ্জের বাড়িতে রয়েছে। পরদিন ভোরে আনিছুল ইসলাম লিটন নামে একজন ফোন করে বাদীকে জানান তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং বিস্তারিত জেনে মামলা দায়ের করেন। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ আমান উল্লাহর চাচা মাওলানা আমির হোসেনের তালাবদ্ধ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ওই দিনই আমানউল্লাহকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়।
আমান উল্লাহ ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে। তদন্তে সত্যতা পেয়ে ২০১৮ সালের ২৮ মে আমানউল্লাহর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন বাকেরগঞ্জ থানার এস আই শেখ মো. জাহিদুল আলম।
রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্য প্রদানে সক্ষম হয়। সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত আসামিকে যাবজ্জীন দণ্ডাদেশ দেন। রায় শেষে আসামিকে সাজাভোগে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ কে এম জাহাঙ্গীর।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২০
এমএস/এমজেএফ