ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মাদক-অস্ত্র মামলায় ইরফান ও দেহরক্ষীর রিমান্ড শুনানি ৮ নভেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
মাদক-অস্ত্র মামলায় ইরফান ও দেহরক্ষীর রিমান্ড শুনানি ৮ নভেম্বর

ঢাকা: ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদের চকবাজার থানায় হওয়া অস্ত্র ও মাদক মামলায় করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে আগামী ৮ নভেম্বর।  

গত ২৯ অক্টোবর এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন অস্ত্র ও মাদক আইনে দু’জনের বিরুদ্ধে দু’টি করে চারটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোসহ প্রত্যেকের ১৪ দিন করে রিমান্ড চেয়েছেন।

 

২ নভেম্বর আলাদা দু’টি আদালতে এসব আবেদনের উপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে অন্য মামলায় এ দু’জন রিমান্ডে থাকায় তাদের এদিন আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই আদালত শুনানির তারিখ পিছিয়ে তা ৮ নভেম্বর ধার্য করেন।  

গত ২৭ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দু’টি করে আলাদা চারটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।

এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে বিভিন্ন অনুমোদনহীন জিনিস জব্দ করা হয়। এর মধ্যে দ ‘টি অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, একটি এয়ারগান ও বেশ কিছু বিদেশি মদ এবং ইয়াবা রয়েছে। এছাড়াও ৩৮টি ওয়াকিটকি সেট ও তিনটি ভিএইচএফ (ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি) ওয়াকিটকি বেজ স্টেশন জব্দ করা হয়।

অভিযানে কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে মাদক সেবন ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮ মাসের সাজা দিয়েছেন। এছাড়াও ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদকে বেআইনি ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আশিক বিল্লাহ আর বলেন, ইরফানের বাসা থেকে জব্দ হওয়া দু’টি বিদেশি পিস্তল ও মাদকদ্রব্যের বিষয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে দু’টি এবং দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে একই আইনে দু’টি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

এছাড়া গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট ওয়াসিম খানকে মারধর করেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িতে থাকা লোকজন। পরদিন ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। মামলায় মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদ, মদীনা ডেভেলপারসের প্রটোকল কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

ভিএইচএফ ওয়াকিটকি বেজ স্টেশনটি মূলত এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং আধিপত্য বিস্তারের জন্য নিজের খরচে অবৈধভাবে এটি স্থাপন করেছিলেন ইরফান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।