ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ভ্রুণ হত্যা: হাইকোর্টে এএসপি নাজমুস সাকিবের জামিন আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২০
ভ্রুণ হত্যা: হাইকোর্টে এএসপি নাজমুস সাকিবের জামিন আবেদন এএসপি নাজমুস সাকিব

ঢাকা: ভ্রূণ হত্যা, নির্যাতন, যৌতুকের মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিব হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

তার আবেদনটি বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি জাহিদ সরওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিলো।

এর আগে আত্মসমর্পণের পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেদিন থেকে কারাবন্দি এএসপি নাজমুস সকিব। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

গত ১৮ আগস্ট বাবা-মাসহ এএসপি নাজমুস সাকিবকে হাইকোর্ট চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। চার সপ্তাহ পর তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সে অনুসারে ১৫ আগস্ট আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত তার বাবা-মাকে জামিন দিলেও নাজমুস সাকিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৪ জুন রাতে রমনা থানায় এএসপি নাজমুস সাকিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন তার স্ত্রী ইশরাত রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, নাজমুস সাকিবের (৩৪) সঙ্গে ইশরাত রহমানের ২০১৭ সালের মার্চে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তার বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে সব আসামি মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ১২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আসামিরা ইশরাতের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। ওই সময় ইশরাত গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন।

ইশরাত রাজি না হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইশরাতের স্বামী নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান।

আরও পড়ুন:
যৌতুক ও ভ্রূণ হত্যা: এএসপি নাজমুস সাকিব কারাগারে

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।