ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাগেরহাটে মাদরাসাছাত্রী হত্যা মামলায় কিশোরের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
বাগেরহাটে মাদরাসাছাত্রী হত্যা মামলায় কিশোরের কারাদণ্ড প্রতীকী ছবি

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মাদরাসা শিক্ষার্থী হিরা আক্তার হত্যা মামলায় হাসান রসিদ মৃধা (১৩) নামে এক কিশোরের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ আদালতের।

 

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম এ আদেশ দেন। তবে এ মামলায় গ্রেফতার অন্য দুই আসামি হাসান রসিদের দাদা (৭৫) মোক্তার মৃধা ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের (৬৫) বিচার অন্য আদালতে চলমান রয়েছে।

হাসান রসিদ মৃধা মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের মো. তোফাজ্জেল হোসেন মৃধার ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২ জুলাই বিকেলে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামে নিজ ঘরে গাউস শেখ ও নাসিমা বেগম দম্পতির মেয়ে হিরা আক্তারকে হত্যা করে আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন আসামিরা। পরে ৩ জুলাই নিহতের মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ১৪ জুলাই হাসান রসিদ, মোক্তার মৃধা ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই বছর ১৮ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ঠাকুর দাস মণ্ডল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। হাসান রসিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ায় তার বিচারের জন্য মামলাটি ২৫ নভেম্বর নারী ও শিশু আদালতে পাঠানো হয়। নারী ও শিশু আদালত ২০২০ সালের ১৫ মার্চ অভিযোগটি আমলে নেয়। ১৪ সেপ্টেম্বর আদালত আসামি হাসান রসিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য, ভিকটিমকে পরীক্ষাকারী চিকিৎসক ও তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত হাসান রসিদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শেখ বাহাদুর ইসলাম ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি রণজিৎ কুমার মণ্ডল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।