বরিশাল: বরিশালে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে (৮) অপহরণের পর ধর্ষণ করে হত্যা ও তার মরদেহ গুমের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালুকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কালু বরিশাল নগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুরের গনপাড়া এলাকার মৃত ওয়াহাব খানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সীমা আক্তার প্রতিদিনের মত তার বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয়ের শৌচাগার বন্ধ হওয়ায় সে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আসামি কালুর বাড়ির শৌচাগারে যায়। এ সময় কালু ওই শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন। এরপরে তাকে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে একই এলাকার হালিম মাস্টারের বাড়ির কবরস্থানে ফেলে রাখেন। ঘটনার দুই দিন পর ১৩ মার্চ ওই কবরস্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের মা মাহামুদা বেগম বাদী হয়ে আসামির নাম উল্লেখ করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্ট থানার ইন্সপেক্টর আব্দুর রহমান মুকুল আদালতে চার্জশিট দেন।
আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার এই রায় দেন।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফয়জুল হক ফয়েজ বাংলানিউজকে জানান, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। আট বছরের শিশু সীমাকে ধর্ষণের অপরাধে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, অপহরণের ঘটনায় যাবজ্জীবন এবং লাশ গুমের ঘটনায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেড় লাখ টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাচ্চু বাংলানিউজকে জানান, বাদীর পক্ষ হয়ে আমরা এই মামলায় আইন সহায়তা করেছি। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
এমএস/এমআরএ