ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বঙ্গবন্ধুরসহ দেশের সব ভাস্কর্য রক্ষায় রিটের শুনানি মঙ্গলবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২০
বঙ্গবন্ধুরসহ দেশের সব ভাস্কর্য রক্ষায় রিটের শুনানি মঙ্গলবার হাইকোর্ট

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যসহ দেশের সব ভাস্কর্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি হবে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর)।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে সেদিন দুপুর দেড়টায় ভার্চ্যুয়ালি এ রিটের ওপর শুনানি হবে বলে জানান আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতিতে ভার্চ্যুয়ালি এ রিটের শুনানি হবে।

এর আগে রোববার (৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উত্তম লাহিড়ী এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

রিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে নৈরাজ্য/বিশৃঙ্খলা/অনাচার প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম/পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, ধর্ম সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিবকে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন নাহিদ সুলতানা যুথী। রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ রাষ্ট্রের যত ভাস্কর্য আছে এটা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র যেন সেটা রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয় তার নির্দেশনা চেয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার প্রতীক। আমাদের স্ট্যাচু অব লিবার্টি। বঙ্গবন্ধু কোনো মনুমেন্টে সীমাবদ্ধ না। এটা আমাদের অস্তিত্ব। বাংলাদেশের অস্তিত্ব। বঙ্গবন্ধুর জন্য আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলছি। বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য আছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যের যে মনুমেন্টগুলো আছে এগুলো কোনোভাবে কোনো ধর্মীয় প্রতীকের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না। এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়েছি।

তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি ও বায়তুল মোকাররমের খতিব ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তারা বিস্তারিত বলবেন, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবেন যে, এটা কোনোভাবেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে না। এজন্য ওনাদের বিবাদী করেছি। আমরা নিজেরা সবাই ধর্ম পালন করি। আমরা ধর্মের ঊর্ধ্বে না। আমরা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দেখি। সেটার জন্য ডাইরেকশন চেয়ে বঙ্গবন্ধুর মনুমেন্টের ওপর যেন কোনো আঘাত না আসে সেটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এটা যেন রাষ্ট্র পালন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
ইএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।