ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. তৌহিদা বেগম।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৮ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। একইদিনে আসামি কামাল হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। এ সময় আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
আদালত আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন রেখেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ৮/৯ বছর আগে ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর সে তার দাদীর কাছে থাকতো। বিবাহ বিচ্ছেদের পর আসামি ও ভুক্তভোগীর বাবা লিপি বেগম নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন। গত বছরের এপ্রিল মাসে মেয়েকে নিয়ে তার বাবা রূপনগর আবাসিক এলাকার বস্তিতে যান। এ নিয়ে তার সৎ মায়ের সাথে বাবার ঝগড়া হয়। পরে ২ মে মেয়েকেসহ আসামি বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। গত ৪ মে এবং ৫ মে কামাল হোসেন সেখানে ধর্ষণ করেন তার মেয়েকে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৬ মে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৯ মে আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবিন্দ দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে মামলাটি তদন্ত করে বাড্ডা থানার এসআই আল-ইমরান আহম্মেদ কামাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
কেআই/এমজেএফ