কক্সবাজার: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলা বাতিল চেয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দায়ের করা রিভিশন আবেদন খারিজ করা হয়েছে। ওই মামলার এক নম্বর আসামি বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকতের পক্ষে এই রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল দীর্ঘ শুনাণি শেষে আবেদন খারিজ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেজর সিনহা হত্যা মামলার আইনজীবী অ্যাড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, কক্সবাজারের ইতিহাসে এরকম রিভিশনের নজির নেই। তাই দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রিভিশন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আদালত যে আদেশ দিয়েছেন এটিই সঠিক।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাখেদ খান। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করার আদেশ দেন র্যাবকে। দীর্ঘ চার মাস তদন্ত শেষে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় তার বোনের দায়ের মামলাটি বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা চেয়ে মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য গত ৪ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন প্রধান আসামি লিয়াকতের আইনজীবী মাসুদ সালাহ উদ্দিন। ওই দিন আদালত মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। তবে শুনানির ওই নির্ধারিত দিনে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস অসুস্থতার কারণে আদালতে উপস্থিত থাকতে না পারায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয় ১০ নভেম্বর।
মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির ওই নির্ধারিত দিনে (১০ নভেম্বর) সিনহা হত্যার মামলাটি বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা চেয়ে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাহ উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন আবারো পিছিয়ে যায়। রোববার (১৩ নভেম্বর) আদালত পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে রিভিশন আবেদন খারিজ করে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
এসবি/এমজেএফ