ঢাকা: যে সব বাংলাদেশি কানাডায় মানিলন্ডারিং করেছে তাদের নাম ও ঠিকানা যত দ্রুত সম্ভব পাঠাতে কানাডার এফআইইউ’র কাছে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তারা এ তথ্য পাঠালে আদালতকে অবহিত করবে বিএফআইইউ।
অর্থ পাচার নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে সংস্থাটি।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ২২ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব ধরনের তথ্য চেয়েছেন। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট ২০১৫ থেকে ২০২০ অর্থবছরে দুদক, সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ ও এনবিআরকে ৩২২৮টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন দিয়েছে।
বিএফআইইউ আন্তর্জাতিক সংস্থা এগমন্ট গ্রুপের সদস্য। তাদের কাছ থেকে পাওয়া গোপনীয় তথ্য তৃতীয়পক্ষের কাছে দিতে বাধা রয়েছে। তাই বিএফআইইউ তাদের নীতি মানতে বাধ্য। তাদের কোনো নীতি ভঙ্গ হলে সদস্যপদ বরখাস্ত বা বাতিল করতে পারে। যেমনটা ঘটেছে নাইজেরিয়া ও এল সালভাদরের ক্ষেত্রে।
তবে আদালতের আদেশের পর বিএফআইইউ কানাডার এফআইউ’র কাছে একটি অনুরোধ পাঠিয়েছে। যে সব বাংলাদেশি কানাডায় মানিলন্ডারিং করেছে তাদের নাম ও ঠিকানা দ্রুত পাঠাতে। কিন্তু এফআইইউ এখনো সাড়া দেয়নি। বিএফআইইউ সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সাড়া পেলেই তাদের দেওয়া তথ্য আদালতে পৌঁছানো হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুনানি শেষে আদালত টাকা পাচারকারীদের বিষয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তথ্য জানাতে বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
ইএস/এএ