ঢাকা: পরিবেশ রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম যথাযথ ও সঠিকভাবে করার জন্য জেলা-উপজেলায় অফিস স্থাপন, জনবল বৃদ্ধি, গবেষণার ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (১০ জানুয়ারি) এ রুল জারি করেন।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে করা আবেদনে এ রুল জারি করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করীম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান শুনানিতে ছিলেন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ বন্ধে দায়ের করা রিট মামলার চূড়ান্ত শুনানিতে বাদী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই সপ্তাহের সম্পূরক রুল জারি করেন। আদালত ছয়জন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ সচিব ও পরিবেশ সচিবকে পক্ষভুক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আদালত বিভিন্ন জনস্বার্থের মামলায় নির্দেশনা দিলে পরিবেশ অধিদপ্তরের দাখিলকৃত প্রতিবেদনে বলা হয় লোকবল ও অন্যান্য কারণে সময়মতো আদালতের নির্দেশনা পালন করা যাচ্ছে না। যেহেতু বিভিন্ন আইনে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া আছে সে কারণে জনবল বৃদ্ধি ছাড়া এসব আইনের প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
ইএস/এএটি