ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার রায় হবে আগামী ২৮ জানুয়ারি।
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আফরোজা ফারহানা (অরেঞ্জ) যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে আসামির আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন। অপরদিকে, আইনজীবী খন্দকার মহিবুল হাসান আপেল আসামিকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
গত ৯ ডিসেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। সেদিন আদালতে সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. তৌহিদা বেগম। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৮ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
ওইদিনই আসামি কামাল হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন৷ এ সময় আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। সেদিনই আদালত আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন রাখেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ৮/৯ বছর আগে ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর সে তার দাদির কাছে থাকতো। ডিভোর্সের পর আসামি ও ভুক্তভোগীর বাবা লিপি বেগম নামে আরেকজনকে বিয়ে করে। গত বছরের এপ্রিল মাসে মেয়েকে নিয়ে তার বাবা রূপনগর আবাসিক এলাকার বস্তিতে যায়। এ নিয়ে তার সৎ মায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়। পরে ২ মে মেয়েকেসহ আসামি বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। গত ৪ মে এবং ৫ মে কামাল হোসেন সেখানেই ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৬ মে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৯ মে আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবিন্দ দেয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে মামলাটি তদন্ত করে বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-ইমরান আহম্মেদ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
কেআই/ওএইচ/