ঢাকা: দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ফরিদপুরের কানাইপুর ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
তারা হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন এ দুজন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার এ আদালতে আইনজীবীদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তারা। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এপিপি তাপস কুমার পাল বলেন, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল এ মামলার আসামি। তাদের স্বীকারোক্তিতে এ দুই চেয়ারম্যানের নাম আসে।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছর ২৬ জুন দুই ভাই বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ এ দুই মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন। এ টাকার উল্লেখযোগ্য অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।
আরও বলা হয়, গত ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে এ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
কেআই/ওএইচ/