ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় আসামি রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় আসামি রিমান্ডে রাফিদ সাদমান

ঢাকা: রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় রাফিদ সাদমান নামে সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

 

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই শ্যামল আহমেদ আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।  

বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।  

শুনানিতে তিনি বলেন, আসামি ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় ফুঁসলিয়ে এবং পরবর্তীতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। তার রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

আসামির পক্ষে মৃধা মো. রাশেদ সারোয়ার পলাশ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ভুক্তভোগী এবং আসামির মধ্যে কথাবার্তা ও দেখা হতো। গত বছরের ৩০ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগী আসামি সাদমানের সঙ্গে উত্তরায় এক বন্ধুর বাসায় দেখা করেন। সেখানে কথাবার্তার একপর্যায়ে সাদমান ভুক্তভোগীকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানোর পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। অচেতন অবস্থায় সাদমান তাকে তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও করে। জ্ঞান ফিরলে আসামি ভিডিওর ভয় দেখিয়ে তাকে রাতে বাসায় রেখে দেয় এবং ধর্ষণ করে। পরদিন ভুক্তভোগী আসামির বাসা থেকে বের হয়ে নিজের বাসায় চলে আসেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এরপর আসামি ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। গত বছর ৮ নভেম্বর আসামি ভুক্তভোগীকে তার বাসায় যেতে বলে। তিনি বাসায় যেতে রাজি না হওয়ায় সাদমান পূর্বে ধারণ করা ভিডিও গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে তাকে পাঠায় এবং তার সঙ্গে দেখা না করলে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ওই তরুণী বাধ্য হয়ে গত বছর ২৫ ডিসেম্বর সাদমানের বাসায় গেলে তাকে আবারও ধর্ষণ করা হয়। পরে কোনো উপায় না দেখে তিনি ঘটনার বিষয়ে পরিবারকে জানান।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পর সাদমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
কেআই/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।