ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে লালবাগ থানার মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতা জজ কোর্টেও জামিন পাননি। এ দু’জন হলেন- সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) এ দু’জনের পক্ষে জামিন আবেদন করেন সিরাজুল ইসলাম ও খাদেমুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
গত ১১ অক্টোবর দিনগত রাতে রাজধানীর মগবাজার ও আজিমপুরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত নাজমুল ও সাইফুলকে গ্রেফতার করে ডিবি।
গত ২০ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে ঢাবির এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এ মামলার প্রধান আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন। নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক। বাকি চার আসামি নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকী।
তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এরমধ্যে হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
কেআই/আরবি