ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে খুন, ৬ কিশোর সংশোধনাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে খুন, ৬ কিশোর সংশোধনাগারে

ঢাকা: রাজধানীর মুগদার মান্ডায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে হাসান মিয়া (১৬) নামে এক কিশোর হত্যা মামলায় সাতজনকে গাজীপুরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান সাত কিশোরকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় ছয়জনকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন। এই ছয়জন হলেন- তানভীর (১৬), রাতুল (১৬), ফাহিম (১৬), রিয়াদ (১৬), নিশাত (১৬) ও আবু বক্কর সিদ্দিক (১৭)।

এ সময় রতন নামে এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন। তবে আসামি রতন (১৭) পরবর্তীকালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অসম্মতি জানায়। পরে তাকেও কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান নোমান।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে মান্ডার লেক তুষার শাহ আলমের গলিতে ৮-১০ জন মিলে হাসানকে হত্যা করে। সে একটি প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী ছিল। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভারারা গ্রামে তার বাড়ি। মান্ডা পরিবারের সঙ্গে থাকতো সে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। এ ঘটনায় হাসানের বাবা আশরাফুল ইসলাম মুগদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, মূলত সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্যরা হাসান মিয়াকে খুন করে। সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্বের শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
কেআই/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।