ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খালাস চেয়ে আপিল করেছেন গফরগাঁওয়ের ৪ মানবতাবিরোধী 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২১
খালাস চেয়ে আপিল করেছেন গফরগাঁওয়ের ৪ মানবতাবিরোধী 

ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত ময়মনসিংহের ৪ জন খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন। এদের গত ১১ ফেব্রুয়ারি দণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

তারা হলেন—আমৃত্যু দণ্ডিত মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, ২০ বছরের দণ্ডিত মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ এবং মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী।

শনিবার (১৩ মার্চ) তাদের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, আইন অনুসারে গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে।

তবে গ্রেফতার বাকিরা আপিল করেছেন কিনা তা জানা যায়নি।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের আটজনকে দণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে প্রথম বারের মতো একজনকে খালাস দেন।

রায়ে মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এ এফ এম ফয়জুল্লাহ (পলাতক), আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে (পলাতক) আমৃত্যু দণ্ড দেওয়া হয়।

২০ বছর করে সাজা দেওয়া হয় মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আলিম উদ্দিন খান (পলাতক) ও সিরাজুল ইসলাম তোতাকে। আর খালাস পান আব্দুল লতিফ।

রায় ঘোষণার পরে আলিম উদ্দিন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

এর আগে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়েছিল।

ময়মনসিংহের নয়জনের এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, জাহিদ ইমাম ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

রায়ের পর আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, এ মামলায় ১১ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। এর মধ্যে গ্রেফতার ছিলেন মো. খলিলুর রহমান মীর, মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী ও আব্দুল লতিফ।

পলাতক ছিলেন এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা, আলিম উদ্দিন খান ও নুরুল আমিন শাহজাহান।

এর মধ্যে বিচার চলাকালে মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার ও পলাতক থাকা অবস্থায় নুরুল আমিন শাজাহান মারা যান।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চারজনকে হত্যা, নয়জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে তারা এসব অপরাধ করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।