ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বংশালে ইমন হত্যা মামলায় সাতজন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
বংশালে ইমন হত্যা মামলায় সাতজন রিমান্ডে

ঢাকা: পুরান ঢাকার বংশালে মো. ইমন আহম্মেদ (১২) হত্যা মামলায় সাতজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা ছয়জনের তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- ইমরান, মবিনুর রহমান তানজিল, ফয়েজ, নয়ন হোসেন, সুজন মিয়া ও শাহেদ হোসেন। অপর আসামি আকাশ শিশু হওয়ায় তার রিমান্ড শুনানি শিশু আদালতে হয়। শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ বিচারক মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) রাশিদুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

মঙ্গলবার রাতে আসামিদের বংশাল থানার আগামাসি লেনসহ আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আগামসি লেনের একটি বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো ইমন। আরমানিটোলা আহমেদ বাওয়ানি সরকারি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। ১৯ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গবাজারে তার চাচার দোকান থেকে চিপস কেনার কথা বলে ১০ টাকা নিয়ে বের হয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে ইমনের বাবা মো. বাবুলকে অজ্ঞাতনামা একজন ফোন দিয়ে জানায়, ইমন তার কারখানার একটা ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তাকে নিয়ে সে হাসপাতালে যাচ্ছে। তার নম্বরে টাকা পাঠাতে বলেন। ইমনের কথা জিজ্ঞেস করলে জানায়, তার ছেলে ওপরে গেছে, আসলে কথা বলবে।  

এরপর থেকে ফোন নাম্বারটি বন্ধ ছিল। ইমন ফিরে না থাকায় ২০ জন বংশাল থানায় জিডি করা হয়। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ইমনের পরিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খোঁজ পাই, আগামাসি লেনের একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাঁচ তলায় ইমনের মরদেহ পায় পরিবার।

এ ঘটনায় ২১ জুন বংশাল থানায় মামলা করেন ইমনের বাবা মো. বাবুল।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।