ঢাকা: রাজধানীর রূপনগরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ছয় শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায় বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদসহ দুই জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি হলেন আবু সাঈদকে বেলুনের সিলিন্ডার কিনে দেয়া হালিম মৃধা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপনগর থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোকাম্মেল হক দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অবহেলাজনকভাবে মৃত্যু ঘটানো এবং ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪ (খ) ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) আদালতের রূপনগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে চার্জশিটের বিষয়টি জানা গেছে।
গত ২২ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালত দুই জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। চার্জশিটটি পৃথক পৃথক আইনে হওয়ায় মামলাটি বিভাজনের আদেশ দিয়ে নথি সিএমএম বরাবর পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী বিচারের জন্য সিএমএম মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেবেন।
২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রূপনগরের ১১ নম্বর সড়কে বেলুনে গ্যাস ভরছিলেন এক বিক্রেতা। সে সময় হঠাৎ করে বিস্ফোরিত হয় সিলিন্ডারটি। এতে ঘটনাস্থলেই ৬ শিশুর মৃত্যু হয়। তারা হলো—রুবেল, ফারজানা, রমজান, নুপুর, রিয়া মনি ও রিফাত। আবু সাঈদসহ আহত হয় আরও ২০ জন।
ওই দিন দিবাগত রাত ৩টায় রূপনগর থানার এসআই সুমন বণিক বাদী হয়ে বেলুন বিক্রেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে বিস্ফোরণে আহত হয়ে বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা শেষে ১৬ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৩০ জানুয়ারি আবু সাঈদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, ‘আগে তিনি দর্জির কাজ করতেন। ঘটনার কিছুদিন আগে বেলুন বিক্রির কাজ নেন। সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে বেলুন ফুলিয়ে বিক্রি করেন। ঘটনার দিন গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়। এতে তিনিসহ একাধিক লোক আহত হয়। তার বাম হাতের দুই আঙুল উড়ে যায়। বাম হাত ভেঙে যায়। এরপরের ঘটনা সে আর জানে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
কেআই/এমজেএফ