ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘বিচারালয় যেন বাণিজ্যালয়ে পরিণত না হয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২১
‘বিচারালয় যেন বাণিজ্যালয়ে পরিণত না হয়’

ঢাকা: আগামী ২৮ জুলাই অবসরে যাচ্ছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী। ওই সময়ে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে তাকে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সংবর্ধনা দিয়েছে।

সংবর্ধনায় ভার্চ্যুয়ালি প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও পরে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস সংবর্ধনায় বিচারপতির কর্মময় জীবন নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। পরে বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।

এ সময় বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বিদায় বেলা সবাইকে আহ্বান জানাই—আসুন একটি সুস্থ, সরল, স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক বিচার বিভাগের অবকাঠামো আমরা রচনা করে যাই। আজ আমার বিচারিক জীবনের ইতি টানছি। এই মুহূর্তে একটি দাবি রেখে যেতে চাই—বিচারপ্রার্থীদের এই স্বর্গীয় আশ্রয়স্থল বিচারালয় কোনো অবস্থাতেই যেন বাণিজ্যালয় হিসেবে পরিণত না হয়। এটা বার (আইনজীবী) ও বেঞ্চের (বিচারক) উভয়কে শক্তভাবে রুখতে হবে।

আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ৪১ বছরের এই দীর্ঘ বিচারিক জীবনে কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি তার বিচারের ভার আপনাদের ওপর ন্যস্ত। শেষ সময়ে বলে যেতে চাই—আইনের শাসন ছাড়া কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। বাংলাদেশের উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা চলছে তার সফল অংশীদার হবে এই বিচার বিভাগ।

বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ২৯ জুলাই কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। সংবিধান অনুযায়ী একজন বিচারপতি ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে থাকতে পারেন। সেই হিসেবে আগামী ২৮ জুলাই তার বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হবে।

বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া বারে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন তিনি।

পরের বছর ১৯৮০ সালের ২৩ এপ্রিল মুন্সেফ হিসেবে বিচার বিভাগে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে জেলা ও দায়রা জজ হন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী নিয়োগ পান।

২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর তাকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার ছোট ভাই বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়েছেন ২০১৩ সালেই। পাঁচ বছর পর এসে ২০১৮ সালে আপিল বিভাগে নিয়োগ পান বড় ভাই বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী। তখন বিচারাঙ্গনে সর্বোচ্চ এজলাসে দুই ভাইয়ের আসীন হওয়া ইতিহাস বলে উল্লেখ করেছিলেন আইনজীবীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।