ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে প্রবাসী উজ্জ্বল মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের দণ্ড কমিয়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। অপর আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) খারিজ করে সোমবার (০১ নভেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মণ্টু চন্দ্র ঘোষ। পলাতক একজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শাহনাজ হক।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
আইনজীবীরা জানান, বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকায় প্রবাসী মো. উজ্জ্বল মিয়ার সঙ্গে সুজনের সিগারেট ধরানোর লাইটার নিয়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালের ১৪ জুন সুজন, কালু, আজমান, আবুল কাশেমসহ অন্য আসামিরা উজ্জ্বলকে মারধর করেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় উজ্জ্বলের বাবা লুৎফর রহমান বাদী হয়ে সুজনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ ঘটনার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর উজ্জ্বল মিয়া হত্যা মামলার রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা এলাকার আবুল কাশেম (৫০) ও তার ছেলে সুজন (২৪), ওই এলাকার কালু (৪৮) ও তার ছেলে আজমান (২৬)। হত্যার পরিকল্পনার জড়িত থাকার দায়ে পৃথক ধারায় আসামি সুজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আর আসামিরা আপিল করেন। দুটির একসঙ্গে শুনানি শেষে সোমবার রায় দেওয়া হয় বলে জানান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো। চারজনের মধ্যে কাশেম পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২১
ইএস/এমজেএফ