ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের বিষয়ে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২১
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের বিষয়ে রুল ড.এম মোশাররফ হোসেন

ঢাকা: বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড.এম মোশাররফ হোসেন বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্তের আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা দুদক ও বিএফআইইউ আদালতকে জানাবে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার  (৯ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।

অর্থ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, এনবিআর,বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান।

পরে মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, মোশাররফ হোসেন ২০১৮ সালে আইডিআরএ’র মেম্বার হন। ২০২০ সালে চেয়ারম্যান হন। রিট আবেদনকারী একটি উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগের মাধ্যমে জানতে পারেন মোশাররফ হোসেন সদস্য এবং পরবর্তীতে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় দুটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আছেন।  

আইনের ধারা ৭(৩)(খ) অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি বিমা মধ্যস্থতাকারী বা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো সংস্থার বা এইরূপ নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী হন বা তিনি কোনো কোম্পানি বা সংস্থার (সরকারি বা বেসরকারি) পরিচালক বা অন্য কোনো পদে নিযুক্ত থাকেন।

আমার আবেদনকারীর কাছে মনে হয়ছে, মোশাররফ হোসেনের চেয়ারম্যান পদে থাকাটা অবৈধ। এর আগে এই মর্মে একটি রিট করেছিলেন। সেই রিটে কোন অধিকারবলে মোশাররফ হোসেন পদে আছেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এরপর রিট আবেদনকারী আরও খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন, ওই দুটি কোম্পানির আয়কর বিভাগে দেওয়া রিটার্ন নথিতে দেখতে পান কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বাণিজ্য নেই। তাহলে এ দুটি আয়হীন কোম্পানি। কোনো কর্মচারী থাকার কথা না। কিন্তু এ দুটি কোম্পানির কর্মচারীদের প্রবিডেন্ট ও গ্রাচুইটি ফান্ড রয়েছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন মোশাররফ হোসেন। আবার এ দুটি কোম্পানি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছেন। এখন এ কোম্পানির আসল উদ্দেশ্যে কী।  

অর্থ পাচারে ব্যবহার করছেন কিনা এ অবস্থায় এসব বিষয়ে তদন্তে চিঠি দেন। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষগুলো কোনো ব্যবস্থা বা শুনানি নেননি। তাই তিনি রিট করেছেন বলে জানান আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯ , ২০২১ 
ইএস/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।