ঢাকা: আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে শারীরিক নির্যাতনের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পায়নি তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে সংস্থাটি।
বুধবার (১৭ নভরম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সাদা পোশাকে অজ্ঞাতপরিচয় ১৬/১৭ জনের নামে আনা কিশোরকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ১০ মার্চ একই আদালতে মামলার আবেদন করেন আহমেদ কবির কিশোর। তবে, মামলার আবেদনে কারো নামোল্লেখ না করে অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করা হয়।
মামলায় কিশোর উল্লেখ করেন, গত বছর ৫ মে রমনা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। কিন্তু এর আগে গত ২ মে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ১৬-১৭ জন সাদা পোশাকধারী লোক তার কাকরাইলের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান। কিন্তু তারা কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজ দেখাতে পারেননি। তারা বাসা থেকে মোবাইল, সিপিইউ, পোর্টেবল হার্ডডিস্কও নিয়ে যান। পরে হাতকড়া ও মুখোশ পরিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় তাকে। সেখানে ২ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত তাকে নির্যাতন করা হয়। তাদের আলাপ আলোচনায় একজনকে জসিম বলে ডাকতে শুনেন।
আর্জিতে কিশোর আরও বলেন, তাকে একটি পুরনো ও স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রচণ্ড জোরে তার কানে থাপ্পর মারলে কিছুক্ষণের জন্য তিনি বোধশক্তিহীন হয়ে পড়েন। বুঝতে পারেন, তার কান দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। তারপর স্টিলের পাত বসানো লাঠি দিয়ে পায়ে পেটাতে থাকে। যন্ত্রণায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন কিশোর। এভাবে কয়েক দফা ২ থেকে ৪ মে পর্যন্ত শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের পর তাকে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
কেআই/এএটি