ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাক্ষ্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন সাক্ষী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
সাক্ষ্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন সাক্ষী

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ৮ রাজাকারের মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ৭০ বছর বয়স্ক এক সাক্ষী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ ঘটনা ঘটে।

আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন ঋষিকেশ সাহা। আদালতে পলাতক আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন আব্দুস শুকুর খান ও গাজী এম এইচ তামিম। গ্রেফতার আসামি হাফিজের পক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

২০১৯ সালের ২৫ মর্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

এ মামলায় ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

মঙ্গলবার এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পঞ্চম সাক্ষী মোছা. লাল বিবি (৭০) জবানবন্দি দেন। কিন্তু জেরা শুরু করার আগে অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা বলেন, মোছা. লাল বিবি তার জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষ হলে নিয়ম অনুযায়ী আসামিপক্ষ জেরা করবেন। এ সময় সাক্ষীর কাঠগড়া থেকে নিচে নেমে দাঁড়ান। এরপর দেখলাম দাঁড়ানো থেকে তিনি হঠাৎ করে পড়ে গেলেন। তখন ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। চিকিৎসকরা এখন তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

আদালত মামলার কার্যক্রম ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।

মামলার আট আসামি হলেন—গোবিন্দগঞ্জের শ্রীমুখের এলাহী বকস প্রধানের ছেলে মোফাজ্জল হক প্রধান ওরফে মোফা (৮২), নাসিরাবাদ কলোনির আমানত হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল করিম (৬৩), আয়ুব খানের ছেলে মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ওরফে সরফ উদ্দিন খান ওরফে সাইফ উদ্দিন (৬৪), শুকর খানের ছেলে মো. সামছুল ইসলাম খান (৬৪), হামিদপুর চিত্তিপাড়ার সৈয়দ আলীর ছেলে মো. সেকান্দার আলী (৬৬), হরিপুরের তালেব প্রধানের ছেলে মো. আকরাম প্রধান (৬৮), পুনতাইন আগপাড়ার আ. কাদেরের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (৬৪) ও বামন হাজরার টুকু প্রধানের ছেলে মো. আব্দুল মান্নান (৬৪)।

এর মধ্যে জামিনে আছেন—মোফাজ্জল হক প্রধান ওরফে মোফা ও মো. আব্দুল করিম (৬৩)। শরীফ উদ্দিন, সামছুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান পলাতক। বাকিরা কারাগারে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।