কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া ইবি থানার একটি হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলামের আদালতে দুই আসামির উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার সুগ্রীবপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে (পলাতক) আব্দুল আজিজ ওরফে মনি পাল (৪৫), একই গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ছেলে আব্দুল খালেক (৪৭) এবং মৃত ইজ্জত আলী পালের ছেলে আনোয়ার আলী (৩৮)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুলাই রাতে আব্দুল ওয়াহেদের বাড়িতে আজমতের একটি গরু প্রবেশ করে এবং তার বেঁধে রাখা গরুকে শিং দিয়ে আঘাত করে। তখন আব্দুল ওয়াহেদ লাঠি দিয়ে মেরে ওই গরুটিকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় আসামি আব্দুল আজিজের হুকুমে আজমত আলীসহ একদল মানুষ লাঠিসোটা, ছেন্দা, রামদা, রড এবং হাতুড়ি নিয়ে হামলা করে। এতে ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে গুরুতর আহত হয় আব্দুল ওয়াহেদ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুলাই দুপুরের দিকে আব্দুল ওয়াহেদের মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ওইদিনই নিহত আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে ইবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইবি থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল খালেক এবং আনোয়ার আলীকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি আব্দুল আজিজ পলাতক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
আরএ