কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হিট স্কোয়াডে থাকা সন্ত্রাসী মো. নাজিম ওরফে পিচ্চি নাজিম (২৯)। নাজিম নগরীর শুভপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক শাহেন আরা আক্তারের আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জেলা গোয়েন্তা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস বাংলানিউজকে বলেন, নাজিম তিনদিনের রিমান্ডে থাকা কালে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়। বুধবার সন্ধ্যায় নাজিমের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। জবানবন্দিতে নাজিম বলেছেন, তিনি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন এবং গুলিও করেছেন।
এর আগে, গত সোমবার রাতে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় নিজ এলাকা থেকে নাজিম এবং হিট স্কোয়াডে থাকা অপর সদস্য মো. রিশাত ওরফে নিশাতকে (২৫) গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে এজাহারবহির্ভূত এ দু’জনকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়।
গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বুধবার পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারনামীয় সাতজন ও সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। বন্দুকযুদ্ধে এজাহারনামীয় তিন আসামি মারা যান। আর পলাতক রয়েছেন ১১ নম্বর আসামি রনি।
** কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: হিট স্কোয়াডের ২ জন গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
এনটি/এসআরএস