কুষ্টিয়া: তথ্য ও সম্প্রচার অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও ভার্চ্যুয়াল টকশোর উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের নামে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান মুনির বাদী হয়ে এ আদালতে দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক), ৫০৫ (ক) এবং ৫০৯ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলাটির আবেদন করেন।
কুষ্টিয়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও মামলার আইনজীবী মাহাতাব উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালতে মামলার আবেদন করার সময় বাদী অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান মুনিরের সঙ্গে অ্যাডভোকেট বুলবুল আহমেদ, হাসান রাজ্জাক রাজু, অ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ, মজিব মোল্লা, মাহমুদ মন্টুসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনো সময় সিবিএমের উপস্থাপক নাহিদ ডা. মুরাদ হাসানের একটি সাক্ষাৎকার নেন। ওই সাক্ষাৎকারে সেই সময়ের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ এবং অশ্লীল বক্তব্য দেন, যা ধর্মীয় অনুভূতি ও রাজনৈতিক শ্রেণি-গোষ্ঠীর মধ্যে অসন্তোষ এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টার বহিঃপ্রকাশ।
বাদী অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান মুনির বলেন, নাহিদের ভার্চ্যুয়াল টকশোতে অংশ নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন। তাই মামলার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত মামলাটি গ্রহণ না করে খারিজ করে দেন।
ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে তার কথোপকথোনের অডিও ফাঁসের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েন মুরাদ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। একইসঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান ডা. মুরাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
এসআই