ঢাকা: এমভি অভিযান-১০ এর বিরুদ্ধে নৌ আদালতে দায়ের করা মামলায় সেই লঞ্চের দুই স্টাফ আত্মসমর্পণ করেছেন। এ দুজন হলেন- ৫ নম্বর আসামি লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও ৭ নম্বর আসামি সেকেন্ড মাস্টার খলিলুর রহমান।
এ দুজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার নৌ আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জয়নাব বেগম জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নৌ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটিং অফিসার মো. বেল্লাল হোসাইন জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত উক্ত আসামিরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন। বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও নিহতের ঘটনায় লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আটজনের বিরুদ্ধে গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ওই জাহাজের ইনচার্জ মাস্টার রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ ড্রাইভার মাসুম বিল্লাহ, সেকেন্ড মাস্টার খলিলুর রহমান, সেকেন্ড ড্রাইভার ও আবুল কালাম, শামীম আহাম্মেদ, রাসেল আহম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি। দুজন চালক ও দুজন মাস্টার ছাড়া বাকিরা নৌযানটির মালিক বলে জানা গেছে।
এদিন নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধিত ২০০৫) এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এসব ধারায় আসামিদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
কেআই/আরবি