ঝালকাঠি: মামলার আলামত হিসেবে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ ও এতে থাকা পোড়া মালপত্র জব্দ করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লঞ্চটি জব্দ করে পুড়ে যাওয়া মালপত্র থানায় নিয়ে রেখেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার আগে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ওই লঞ্চে আগুন লাগে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত আড়াইশ’ জন। এ দুর্ঘটনায় লঞ্চের মালিকসহ ২৮ জনকে আসামি করে করা মামলায় পুড়ে যাওয়া লঞ্চ ও এতে থাকা মালপত্র জব্দ করল পুলিশ।
থানা সূত্র জানায়, এ মামলায় এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও লঞ্চের স্টাফসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও লঞ্চের অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে। ঢাকার ডেমরা থানাধীন বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা স্বজনহারা মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তার বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগ্নি সুমাইয়া আক্তার, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাতিজা ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চে ছিলেন। তারা এখনো নিখোঁজ।
এ ব্যাপারে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, মামলার আলামত হিসেবে লঞ্চটি জব্দ করে পুড়ে যাওয়া মালাপত্রের অংশ বিশেষ থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আর এরই মধ্যে গ্রেফতারকৃতদের গ্রেফতার দেখানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক আব্দুল মালেক জানান, দণ্ডবিধির ২৮০,২৮৫,২৮৭,৩০৪(ক), ও ১০৯ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। ঝালকাঠি থানার মামলা নম্বর ১২ ২৭/১২/২০২১। আসামিরা হলেন লঞ্চের অন্যতম মালিক হামজালাল শেখ, দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. আব্দুল খলিল, দুই ড্রাইভার মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার আনোয়ার, সুকানি আহসান ও কেরানি কামরুল। মামলায় দহনশীল দ্রব্য নিয়ে বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালানো এবং অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
এসআই