কুমিল্লা: টাকা না পেয়ে এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে কুমিল্লায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) খান মুহাম্মদ রেজোয়ান।
গ্রেফতারা হলেন- জেলার দাউদকান্দি উপজেলার বড়কোট এলাকার ভূঁইয়াবাড়ীর শহীদুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে মাইক্রোবাসচালক আব্দুল্লাহ আনসারী মুন্না ও আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে দ্বীন ইসলাম দীনু।
এসপি খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার রামপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশে ঝোপে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি উদ্ধার করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ। এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় মামলাটি তদন্ত ভার ন্যস্ত হয় সিআইডির কাছে। প্রযুক্তির ব্যবহার করে চলতি মাসের ১৭ ডিসেম্বর (২০২১) মুন্না ও দীনুকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে আদালতের কাছে তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেন।
জবানবন্দিতে আটক যুবক দীনু জানান, তিনি সেনানিবাস এলাকার নিশ্চিন্তপুরে একটি হোটেলে বয়ের কাজ করতেন। সেখানে নাজমা নামে নারী সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ সিদ্ধান্তের তার আগে নাজমা তাকে জানিয়েছিলেন ৬০ হাজার টাকা আছে। ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার লোভে টাকা নিয়ে আসার জন্য নাজমাকে চাপ দেন দীনু।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে চট্টগ্রামে যাবার কথা বলেন দীনু। এ সময় কুমিল্লার সুয়াগাজী এলাকায় এসে নাজমাকে জিজ্ঞেস করে দীনু, নাজমা টাকা এনেছে কিনা। নাজমা তখন জানান, তার কাছে ১৫ হাজার টাকা আছে। সে সময় বাকি ৪৫ হাজার টাকা না আনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে নাজমার গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন দীনু। পরে মরদেহটি রামপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশের ঝোপে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।
স্বীকারোক্তি শেষে কুমিল্লা ৯ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক বেগম শারমিন রীমা ওই দুই যুবককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
এসআরএস